মশক নিধনে ডিএনসিসি মেয়রের পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদক,
ঢাকা, ২১ নভেম্বর: শুকনো মৌসুমে কিউলেক্স মশার প্রকোপ বৃদ্ধির আশংকার প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা এগারটায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড মাঠে ‘মশক নিধনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ উদ্বোধন করেন। এ অভিযানের আওতায় আগামী ২৪ নভেম্বর রবিবার থেকে ডিএনসিসির সকল (৫৪টি) ওয়ার্ডে ১০দিন ব্যাপী কিউলেক্স মশার ৬২৬টি প্রজননস্থলে (হটস্পট) পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশার লার্ভা ধ্বংস করা হবে। এছাড়া ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকাসমূহের সকল কচুরিপানা অপসারণ করা হবে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে কীটতত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১২জন কীটতত্ববিদের সমন্বয়ে পরিচালিত এক সমীক্ষায় ডিএনসিসি এলাকায় মোট ৬২৬টি কিউলেক্স মশার হটস্পট চিহ্নিত করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, “এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে যে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয় তারই ধারাবাহিকতায় কিউলেক্স মশা নিধনে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কীটতত্ববিদদের পরামর্শে মশক নিধনে ইতিমধ্যে বেশকিছু আধুনিক (চতুর্থ প্রজন্মের) যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে। আমরা বিশটি মিক্সড ব্লোয়ার যন্ত্র এনেছি যার সাহায্যে কাভার্ড ড্রেনগুলোর ভিতরে মশার ডিম ও লার্ভা নিধনের কীটনাশক (লার্ভিসাইড) সহজে কার্যকরভাবে স্প্রে করা যাবে। এছাড়া অল্পসময়ে অধিক এলাকায় পূর্ণাঙ্গ মশা মারার কীটনাশক (এডাল্ডিসাইড) ছিটানোর জন্য দুইটি ভেহিকেল মাউন্টেড ফগার মেশিন আমদানি করা হয়েছে, আরো তিনটি আমদানি করা হবে। এর ফলে মশক নিধন কার্যক্রমে ডিএনসিসির গতি বৃদ্ধি পাবে”। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য আতিকুল ইসলাম নগরবাসীর উদ্দেশে আহবান জানান। তিনি বলেন, এডিস মশা বাসা-বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে, আর কিউলেক্স মশা বাড়ির সামনে ড্রেনে, ডোবা-নালায় ময়লা পানিতে বংশবিস্তার করে। তাই কিউলেক্স মশামুক্ত করতে হলে ডোবা-নালাগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে’। মেয়র সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তরকে নিজ-নিজ এলাকা পরিচ্ছন্ন, কচুরিপানামুক্ত রাখার আহবান জানান। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম রতন, ফরিদুর রহমান ইরান, মোঃ শফিউল্লাহ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম মঞ্জুর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।