“উদ্যোক্তা তৈরীর অংশীদার হতে চাই, আমি নিজেও উদ্যোক্তাদের মেন্টর হতে চাই।” —ডিএনসিসি মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম।

নগর দর্পণ ডেস্কঃ

ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০১৯

দেশকে আর্থসামাজিকভাবে উন্নত করতে দক্ষ কর্মী ও পেশাজীবীর সাথে সাথে দক্ষ উদ্যোক্তা তৈরি অপরিহার্য। আমি এই দক্ষ উদ্যোক্তা তৈরীর অংশীদার হতে চাই, আমি নিজেও উদ্যোক্তাদের মেন্টর হতে চাই, বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম। আজ বেলা ১২ টায় রাজধানীর আগারগাঁও এ অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর মিলনায়তনে Bangladesh Youth Enterprise Advice & Helpcentre (BYEAH) আয়োজিত “প্রকল্প শিখন বিনিময় ও শীর্ষ দশ তরুণ উদ্যোক্তার এ্যাওয়ার্ড প্রদান” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন। তিনি বলেন চাকুরি করার চেয়ে চাকুরি দেয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। তিনি নিজের উদাহরণ টেনে বলেন, পরিবারের চাকুরিজীবী সকল ভাই বোনের সবার ছোট হয়েও তিনি চাকুরির দিকে না ঝুকে ব্যবসাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। নিজে তার মেধা, পরিশ্রম, অধ্যবসায় দিয়ে হয়েছেন দেশের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী, স্বীকৃতিস্বরূপ নির্বাচিত হয়েছেন BGMEA এর সভাপতি হিসাবে। নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশের সবচেয়ে গতিশীল খাত তৈরী পোশাক শিল্পের। তিনি তরুণদেরকে আশাহত না হয়ে অধ্যবসায় সহকারে কাজ করে যাবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মানুষের জীবনে উত্থান-পতন আছে থাকবে, আমিও অনেকবার বড় ধাক্কা খেয়েছি, বাঁধা পেয়েছি, কিন্তু ঠিকই ঘুরে দাড়িয়েছি আবার। থেমে থাকলে চলবে না, লড়তে হবে, পরিশ্রম করতে হবে, পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। জীবনের মতো ব্যবসাতেও জোয়াড়-ভাটা থাকবে, এটাকে মেনে নিয়েই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আমি জেনেছি এই সংস্থার বেশ কিছু মেন্টর আছেন যারা বিনা পারিশ্রমিকে এই তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেন। আমি তাদের এই মহৎ কর্মকে সাধুবাদ জানাই, সম্মান জানাই। আমি নিজেও আপনাদের মতো তরুণদেরকে নিয়ে কাজ করতে চাই, মেন্টর হতে চাই। মেয়র আরো বলেন আমার নির্বাচনী স্লোগান ছিলো “সবাই মিলে সবার ঢাকা।” দেশের এই বিরাট কর্মক্ষম বেকার যুবকদেরকে যদি কর্মের মূলধারায় নিয়ে আসা যায়, উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তোলা যায় তবে দেশের সামগ্রিক জিডিপি ও অর্থনীতিতে এর গুনগত প্রভাব পরবে। মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। তিনি বলেন তরুণদের কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নানান বিশেষায়িত উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারের একাধিক মন্ত্রনালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তর যুবকদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে যার মধ্যে সরকারের a2i এর লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্প, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বিটাক, পিকেএসএফ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক বিষয়ক অধিদপ্তর অন্যতম। তবে এতো বিশাল সংখ্যক যুবসমাজকে সরকারের একার পক্ষে প্রশিক্ষিত করা সম্ভব নয়। তাই আপনাদের মতো আরো অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য, যুব সমাজকে প্রশিক্ষিত করার জন্য। তাই আসুন আমরা একসাথে কাজ করি, মুক্তিযাদ্ধারা যদি নিজেদের জীবন দিয়ে আমাদেরকে এই দেশ দিয়ে যেতে পারে, আমরা কি সবাই মিলে এই দেশটাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, উন্নত ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে পারবো না? অবশ্যই পারবো ইনশাআল্লাহ। দরকার শুধু দেশকে ভালোবাসা, আর দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া। পরে মেয়র শীর্ষ দশ তরুণ উদ্যোক্তাকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। প্রজেক্ট লার্নিং শেয়ারিং এন্ড এ্যাওয়ার্ড সিরিমনি এর সভাপতি আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন BYEAH এর নির্বাহী পরিচালক আশফাহ হক, মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহি বি চৌধুরী, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

RSS
Follow by Email