৪২ শত কোটি টাকায় অত্যাধুনিক নাগরিক সেবা ও সুবিধা নিয়ে সাজানো হবে ডিএনসিসির নতুন ১৮ টি ওয়ার্ড।”—ডিএনসিসি মেয়র

নগর দর্পণ অনলাইন ডেস্কঃ

আজ বিকাল ৪ টায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীন উত্তরখান এলাকার মৈনারটেক উচ্চ বিদ্যালয়ে গণউন্নয়ন বিকাশ কেন্দ্র আয়োজিত “বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের ফ্রি কম্পিউটার ও সেলাই প্রশিক্ষণ কর্মসূচী-২০১৯” এর উদ্বোধন কালে মেয়র এ কথা বলেন। মেয়র আরো বলেন, যুব সমাজ আমাদের সম্পদ, এই সম্পদকে কিভাবে আমরা আরো যথাযথভাবে দেশ গঠনের কাজে লাগাতে পারি সেজন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর এই যুবকদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হলো তথ্য প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত করা। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুবসমাজকেই অগ্রণী ভুমিকা নিতে হবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নতুন এই ১৮ টি ওয়ার্ড যুক্ত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে। ফলে বর্তমানে ডিএনসিসির আয়তন দাড়িয়েছে ১৯২ বর্গ কিলোমিটার। আর এজন্যই নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণকে আরো জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আমি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি আপনাদের উন্নয়নে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে আপনরা যেভাবে ডিএনসিসি’র পাশে ছিলেন, একইভাবে আপনারা সামনের দিনগুলোতেও আমাদের পাশে থাকবেন বলে আশা করছি। এখন আমাদেরকে নতুন ১৮ টি ওয়ার্ড সাজাতে হবে এটিই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। গুলশান বনানী থেকেও আধুনিক হবে এই নতুন ১৮ টি ওয়ার্ড। এখানে পরিকল্পিত রাস্তা, বাজার, খেলার মাঠ, পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, নারী ও শিশু বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন ৪২০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে এই নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নে। সম্ভাব্য সকলকিছুই নিশ্চিত করা হবে আপনাদের সেবায়। বিশ্বমানের এলইডি লাইট এর মাধ্যমে এই উত্তরখান আলোকিত হবে। গুলশান, বনানীর থেকে কোন অংশে সুযোগ সুবিধা কম থাকবে না এখানে ইনশাআল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার উপরে আস্থা রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে আমাকে নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছেন, আমি তার আস্থার মূল্য দিতে চাই। সর্বোচ্চ সততা নিয়ে যেন আপনাদের সেবা দিতে পারি সেজন্য দোয়া করবেন। যুব ও তরুনসমাজকে নিয়ে আমরা এগিয়ে চলতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর নেতৃত্বে আমরা এই তরুণ ও যুবকদেরকে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে প্রশিক্ষিত করার কাজে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বরং বাস্তব। তবে এখনো যেতে হবে বহুদূর, তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্দ্যোগেও সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবশেষে তিনি বলেন, যুবসমাজকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, তারা রাস্তায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলবো না। এই ঢাকাকে ভালোবাসতে হবে, ঢাকাকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে তাদেরকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, এম.পি। গণউন্নয়ন বিকাশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিনারা সুলতানার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুর রহমান শফিক, ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীর মুক্তিযাদ্ধা আলহাজ্ব মো: সাইদুর রহমান সরকার, ৪৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: মোতালেব মিয়া, ৪৭ মাসুদুর রহমান দেওয়ান বুলবুল ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

RSS
Follow by Email