ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কমিটি গঠন
নগর দর্পণ ডেস্কঃ
ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সবমায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু বা এডিস মশা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন)-কে আহবায়ক করে একটি কমিটি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মুল উদ্দেশ্য হলো এ বছরের মতো আগামী বছর যাতে ডেঙ্গুর প্রভাব না থাকে সে বিষয়ে কাজ কাজ করা। এজন্য আজকের সভায় ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন)-কে আহবায়ক করে এর সঙ্গে সিটি কর্পোরেশন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ববিদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তারা একটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কিভাবে উন্নত করা যায়, কি করে সারা বাংলাদেশকে মশক নিধন বা ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ থেকে রক্ষা করা যায় এজন্য একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য পরামর্শ দিবে এবং আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিবে।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব মশা নিধনে কীটনাশক ব্যবহারে সচেতন হচ্ছে। কারণ কীটনাশক ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি হয়। এজন্য মশা মারতে গিয়ে যেন পরিবেশ নষ্ট না হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। তাই এমন একটি উপায় আমাদের বের করতে হবে যাতে মশা কমে এবং পরিবেশ বাঁচে।
আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মশা ও ক্ষতিকর কীট- পতঙ্গের বিস্তার রোধে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, রূপকল্প ২০২১, ২০৪১, এসডিজি অর্জনে মশা ও অন্যান্য ক্ষতিকর কীটমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এজন্য ডেঙ্গু নিধনে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, মশাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ (বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল), কার্যকর ও যথাসম্ভব পরিবেশ বান্ধব কীটনাশক প্রয়োগ, নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বছরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিরোধমুলক কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরী।
আজকের সভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইনট্রিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট কর্মকৌশল বাস্তবায়নের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা, রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ, বায়োলজিক্যাল নিয়ন্ত্রণ, কীটনাশকের যথাযথ ও নিরাপদ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও আবাসস্থল সুরক্ষার কৌশল ও কর্মপন্থা নেয়া হয় ৷ সেই সাথে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমান বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকা মশক নিবারনী দপ্তরকে একটি অধিদপ্তরে উন্নীত করতে হবে। ডেঙ্গু বা এডিশ মশা নিধনে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা করা, ভেক্টোর কন্ট্রোল সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানসমুহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এজন্য একটি এ্যাডভাইজরি বা কারিগরি কমিটি গঠন করতে হবে। জনবল বাড়ানোসহ জনপ্রতিনিধিদের মাঠে নামাতে হবে। এ কাজগুলো সরাসরি মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং করতে হবে। কীটনাশকের ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কীটতত্ত্ববিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।